তীব্র গরমে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। ঘন ঘন বিদ্যুতের এই আসা যাওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান তারা। জ্বালানি সংকটে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় কোনো কোনো অঞ্চলে দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আবার কোথাও বা আট থেকে দশ ঘণ্টাও থাকছে না বিদ্যুৎ। ব্যহত হচ্ছে লেখাপড়া, ব্যবসা, চিকিৎসাসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শিল্প কলকারখানা, দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরম, পানি শূন্যতা, উৎপাদন বন্ধ হয়ে আর্থিক ক্ষতি, অসুস্থতার হার বৃদ্ধিসহ ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ খান বিপু বলেন, কয়েকটি পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। কিছুদিন এ পরিস্থিতি চলবে। কয়লার অভাবে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (পায়রা) অর্ধেক বন্ধ অবস্থায় আছে। ৫ তারিখের পর বাকি অর্ধেকও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সিস্টেমে একটি বড় অংশ বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কিছুটা জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের ওপরে লোডশেডিং চলছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূলত ডলার সংকটে গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানি বিঘ্নিত হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দু-এক মাস সময় লাগবে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন