আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার তৈরি পোশাক খাত সুরক্ষায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এছাড়া রফতানি আদেশ রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী নিজে আমদানিকারক দেশের প্রেসিডিন্ট-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গার্মেন্ট কারখানা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গার্মেন্ট মালিকরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারখানা চালুর আবেদন করেছিলেন, সেগুলো রক্ষা করুন।
আজ শনিবার (২ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, কারখানাগুলো চালুর আগে মালিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কোনও প্রকার শ্রমিক ছাঁটাই বা লে-অফ করা হবে না। ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের দিয়েই ফ্যাক্টরি পরিচালনা করবে। বিভিন্ন জেলা বা গ্রামে অবস্থানরত শ্রমিকদের বেতনের একটি অংশ দেওয়া হবে। তাদের ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করা হবে।
প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখছি প্রতিদিন দলে দলে বিভিন্ন উপায়ে শ্রমিকরা ঢাকায় ফিরছে। তারা বলছেন, তাদেরকে অফিস থেকে ডাকা হয়েছে। শুক্রবার গাজীপুরে একটি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাঁটাই করা হয়েছে শ্রমিকদের। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না।
মন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক শিল্পের মালিকরাও উদার মানসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আমার বিশ্বাস। শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনারা শ্রমিক কর্মী ভাই-বোনদের পাশে থাকুন। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। শ্রমিক ছাঁটাই ও ফ্যাক্টরি যারা লে-অফ ঘোষণা করছে তাদের বিরত রাখুন।’
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলার মাধ্যমে যে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। তাতে পরিবহনসহ অন্যান্য শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আশা করি জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও অনেকে টেস্ট না করিয়ে তা গোপন রাখছেন বলে অভিযোগ করে কাদের বলেন, এতে তারা বিপদ ডেকে আনছেন। লক্ষণ দেখা দিলে হেলপলাইন বা হটলাইনে যোগাযোগের যেন ভুল না হয়। সবাইকে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করছি। করোনা মোকাবেলায় অগ্রসৈনিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, ফ্রন্টলাইনের কর্মকর্তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টরসহ ৪ জন ইতোমধ্যে করোনাই মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আক্রান্তদের আরোগ্য কামনা করছি। ইতোমধ্যে ফ্রন্টলাইন তাদের মধ্যে চিকিৎসক-নার্স টেকনিশিয়ান ফিজিশিয়ান স্বাস্থ্যকর্মীরা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং চিকিৎসা কাজ অব্যাহত রেখেছেন সেজন্য তাদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করোনা যুদ্ধে একজন চিকিৎসক, একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন সাংবাদিক এবং একজন ব্যাংকারকে হারানোর কথা উল্লেখ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।