রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মনিরাম মুন্সিপাড়ায় সীমানা নির্ধারণসহ জাল দলিলের মাধ্যমে পৈতৃক জমি জোরপূর্বক জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বাবুল আখতার।
অভিযোগকারী বাবুল আখতার বলেন আমার বাবা মোঃ একরামুল হক ১৯৮৮ সালে দলিল মূলে ৫৭১ ও ৫৭২ হাল দাগে ৪২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যে জমিটির রেকর্ড সম্পন্ন হয়ে একরামুল হকের নিজ নামে ডিপি খতিয়ান ভুক্তও হয়েছে। তবে আমি আমার পৈত্রিক জমিটির দখল নিতে সক্ষম হলেও চাষাবাদ করতে পারছি না। জমির পূর্ববর্তী ওয়ারিশরা মালিকানা দাবি করে আমাকে চাষাবাদে বাঁধা প্রদানসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করতে আসে।
এমতাবস্থায় আমি রংপুর জজ কোর্টে ১।মোশারফ হোসেন ভোলা ২। মোকাররম হোসেন মোকা ৩। নুরনাহার বেগম ওরফে টুলটুলি ৪। মোসলিমা খাতুন ৫। রেনু বেগম ৬। ফয়জুল হক ফজু গণের বিরুদ্ধে ইংজেকশন মামলা দায়ের করি এবং আমার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমি সঠিক থাকায় মহামান্য আদালত আমার পক্ষে রায় দেন।
বিবাদীগণ আদালতের রায় অমান্য করে আমাকে আমার পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না। পরিশেষে জমি উদ্ধারে গংগাচড়া মডেল থানায়, গংগাচড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনও সুরাহা না পেয়ে শেষমেশ গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। আমি জমি ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না জানায়, অভিযোগ পেয়েছি। আমি ইতিমধ্যে বড়বিল ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি ফয়সালার নির্দেশ দিয়েছি। এর ব্যাতিক্রম ঘটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শরৎকাল | ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১:২৪ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি