মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলে যদি পেঁয়াজের দাম কমে তা করতেও প্রস্তুত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাজারকে আর কোনোভাবেই লাগামহীন হতে দেয়া হবে না।
টানা কয়েক মাস ধরে আকাশ ছুঁয়েছে পেঁয়াজের দাম। চড়া চাল তেলের বাজারও সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। বাজারের এমন পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ; ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন তারা। এমন প্রেক্ষাপটে বাজারের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে করণীয় বিষয়ে আলোচনায় বসেন ব্যবসায়ীরা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী পাইকারি-খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক হারে মুনাফা করার আহ্বান জানান।
ভারতের কারণেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনের বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলে যদি পেঁয়াজের দাম কমে তা করতেও প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
বাজারের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সমালোচনা করে তা নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
কোনো মুনাফা ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি করায় সিটি, মেঘনা ও এস আলমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের পেঁয়াজ আনতে খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি সাড়ে ৪২ টাকা। এ পেঁয়াজ টিসিবিকে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে অনেকে আমদানি করছেন সেটা তো চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ মুনাফালোভীদের মূল্যবোধ সংকটের সময়ও জাগ্রত হয় না।
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটি রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার এ সভার আয়োজন করে। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্যসচিব আবদুছ সাত্তারসহ এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন পরিচালক, বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।