মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে আবারও উর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। দেশি-বিদেশি প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সিন্ডিকেট চক্র দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর পাইকারি বাজারেও মনিটরিং জোরদারের দাবি ক্রেতাদের।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর কিছুদিন আগেই দফায় দফায় বাড়ে পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। সম্প্রতি মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে কিছু পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি এবং বাজার মনিটরিং এর পর দাম কিছুটা ছিল নিম্নমুখী। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬৫ টাকায়। ভোক্তাদেরও প্রত্যাশা ছিল ধীরে ধীরে সহনীয় পর্যায়ে আসবে নিত্যপণ্যটির দর। কিন্তু গত তিনদিনে হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে দেশি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায় ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়।
এক বিক্রেতারা বলেন, এক তারিখ কিনেছিলাম ৮৭ টাকা ৩০ পয়সা করে, আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬৫-৭০ টাকায়।
খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের ঝাঁঝ আগের অবস্থায়। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে এক কিলোমিটার দুরে টাউনহল মার্কেটে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
শুধু দাম বাড়লেই নয় সারা বছর বাজার মনিটরিং এর দাবি ক্রেতাদের।
এক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের বাজার খুবই অস্থিতিশীল। এভাবে দাম লাগামহীন হলে আমরা কীভাবে চলব?
অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ও আমদানি কম হওয়ার পাশাপাশি সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন ক্রেতারা।