স্থানীয় সূত্র জানা যায়, উপজেলার হায়পুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী ছবু মিয়া (৩৩) একটি মোটরসাইকেল যোগে হায়পুর থেকে মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ সিলেট মহাসড়কের সোয়াব আলী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পিছন দিক থেকে এসে একটি দ্রুতগামী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৩-৪৫৭৮) ধাক্কা দিলে ছবু মহাসড়কে পড়ে যান। এ সময় তার সারা শরীর দূমড়েমুচড়ে যায়। শরীরের প্রত্যেক মাংশ খসে পড়ে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে শুধু তার দুই পায়ের অস্থিত্ব পান। নিহত ছবু হায়পুর গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে। তার স্ত্রী,এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। আরো জানান যে, নিহত ছবু দেড় মাস আগে দুবাই থেকে দেশে ছুটি কাটাতে এসেছেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও বাচ্চারা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছেন।
অন্যদিকে, আমেরিকা প্রবাসী ও হায়পুর গ্রামের বাসিন্দা শাহজান আসুক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা আসলে চালক গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাৎক্ষনিক মুটুকপুর গ্রামের ট্রাক চালক আতিকুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটকিয়ে রাখেন। শনিবার দিবাগত রাত প্রায় ৯ টার দিকে মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ-সিলেট মহসড়কের সোয়াব আলী বাজারের পাশে একটি ট্রাক এসে ধাক্কা দিয়ে সড়কের বাহিরে ফেলে দেয় তাদের। এই ঘটনায় আহত হন একই গ্রামের কনা মিয়া ও রফিক মিয়া। তাৎক্ষনিক স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ঘটনাস্থলে আসলে ট্রাকসহ চালক পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রোববার (১৩জুন) সকালে স্থানীয়রা জানান, আহত কনা মিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম রোববার দুপুরে জানান, এ ঘটনায় ঘাতক চালক আবুল মালেকসহ ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনাস্থলে রাতে দেখতে এসে আরো দুইজন পৃথক আরেক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন। ফেঞ্চুগঞ্জ সিলেট মহাসড়ক যেন এক মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।