তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মন্দিরে পূজা করা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় সুরঞ্জিত বিশ্বাস (১৭) নামে আহত এক কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।বুধাবার (৮ জুন) বিকেল ৪টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরঞ্জিত মারা যান। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সুরঞ্জিত উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের শ্রীপুর এলাকার সুধাংশু বিশ্বাসের পুত্র। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা (নম্বর ৮) দায়ের করেছেন সুরঞ্জিতের পিতা সুধাংশু বিশ্বাস।
মামলার এজাহার ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের শ্রীপুর এলাকায় কালি মন্দিরে শীতলী পূজার আয়োজন করেন স্থানীয় বাসিন্দা সুধাংশু বিশ্বাস, শ্যাম লাল বিশ্বাসসহ ১০/১২ জন সনাতন ধর্মের লোক। বিষয়টি মেনে নেননি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পঞ্চায়েতের লোকজন। পূজো চলাকালীন সময়ে পঞ্চায়েত পক্ষের ওই এলাকার মৃত যদু বিশ্বাসের ছেলে নান্টু বিশ্বাস, মৃত রমেশ বিশ্বাসের ছেলে রসেন্দ্র বিশ্বাস, রসেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে রনজিত বিশ্বাসসহ প্রায় ১৫/১৬ জনের একটি দল পূজো বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়। এ সময় সুধাংশু বিশ্বাসরা পূজো বন্ধ না করায় তাদের ওপর ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটটা নিয়ে হামলা চালায় পঞ্চায়েত পক্ষ। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সুরঞ্জিত, তার পিতা সুধাংশু, শ্যাম লাল বিশ্বাস, মিন্টু বিশ্বাসসহ ৬ জন আহত হোন।
আহতদের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সুরঞ্জিতের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সেখানকার কতব্যরত চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। একদিন চিকিৎসার পর সেখানে বুধবার বিকেলে সুরঞ্জিতের মৃত্যু হয়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের পিতা থানায় মামলা করলে এ ঘটনায় নান্টু বিশ্বাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।