পুলিশের তদন্তে ঘোড়াঘাট ইউএনও হত্যাচেষ্টার মামলায় ভিন্ন মোড়। নৈশপ্রহরী পলাশের সহযোগিতায় ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায় মালি রবিউল। সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
রবিউলকে এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। তার সহযোগী নৈশ প্রহরী পলাশ ও রিমান্ড শেষ হওয়া আসামি আসাদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, চিকিৎসক জানিয়েছেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম এখন অনেকটাই শঙ্কামুক্ত ।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধু্ম্রজাল। ঘটনার পর ৪ সেপ্টেম্বর আসামি আসাদুলকে গ্রেফতার করে র্যাব। সে সময় তারা জানায় চুরির উদ্দেশেই আসামি আসাদুলের সহযোগিতায় নবীরুল হামলা করে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর।
এদিকে, শনিবার ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসনের বরখাস্ত কর্মচারী রবিউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তারা জানায়, রবিউলের আঘাতেই আহত হয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। ররিউলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত হাতুড়িও। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল পুলিশকে জানায়, ঘটনা লুকাতে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ঘটনার দিন ব্যবহৃত শার্ট, ক্যাপ ও গামছা।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানান রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। শিগগিরই এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
হামলায় জড়িত তার সহযোগী হিসেবে আটক করা হয় বাসভবনের নৈশ প্রহরী পলাশকে। পরে তাদের দু’জনকেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হাজির করা হয় আদালতে। পুলিশের আবেদনের শুনানি শেষে মালি রবিউলের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
এদিকে, গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানম এখন শঙ্কামুক্ত। অবশ হয়ে থাকা তার ডান হাত এখন নাড়াচাড়া করছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। সকালে ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর, আসামি নবীরুল ও সান্টু কুমারের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। মামলার মূল আসামি আসাদুল, রিমান্ডে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে, ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার ৯দিন পর ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।