পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- অতিরিক্ত উপকমিশনার (সুপারনিউমারারি উপকমিশনার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহেন শাহ, জুয়েল রানা ও অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিবি উত্তর মহানগর উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার রবিউল হোসেন ভূঁইয়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তিন ধাপে পুলিশের ২৬ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়।
গুলশান থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ বলেন, ডিবির একটি দল রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশে হস্তান্তর করে। ২০১৩ সালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক রেখে অবরুদ্ধ করার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই রায়হানুল ইসলাম সৈকত। বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার ঘটনার সময় রফিকুল ইসলাম গুলশান থানার ওসি এবং পরে গুলশান বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গৃহকর্মী লিজা আক্তার হত্যার মামলায় অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত জুয়েল রানাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর লিজার বাবা জয়নাল শিকদার শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।
গণআন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়। এরপর একে একে সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপি ডিবির লালবাগ বিভাগের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম, এপিবিএন কনস্টেবল মো. সুজন, তাজহাট থানার এএসআই সৈয়দ আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম