শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। পায়ের ত্বকের নিচের স্তরে চিড় ধরে ও ফেটে যায়। এ কারণে ব্যথা করে, জ্বালা করে, হাঁটতে সমস্যা হয়। কখনো তাতে সংক্রমণও হতে পারে। কিছু রোগের কারণে পা ফাটার প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। যেমন: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা, সোরিয়াসিস, একজিমা, ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি। স্থূল ব্যক্তিদেরও পা বেশি ফাটে। এ ছাড়া খুব ঠান্ডা শুষ্ক আবহাওয়া, খোলা জুতা বা স্যান্ডেল, জুতোর পেছন দিকে ঘর্ষণ, জুতা ঠিকমতো ফিট না করা ইত্যাদি এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। কী করবেন না: • অতিরিক্ত গরম পানি ত্বক আরও শুষ্ক করে দেয়। গোসলে বা পা পরিষ্কার করতে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। বেশি সময় ধরে পা পানিতে ডুবিয়ে রাখাও ভালো নয়। শীতকালে গোসল সারতেও খুব বেশি হলে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় নিন। • অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার, অতিরিক্ত ঘষাঘষি ত্বকের শুষ্কতা বাড়িয়ে দেবে। • খালি পায়ে হাঁটবেন না। ঠান্ডা বাতাসে বের হলে খোলা জুতা বা স্যান্ডেল না পরে এ সময় বন্ধ জুতো পরুন। • পায়ের মরা চামড়া ওঠাতে নিজে নিজে কখনো ধারালো কিছু ব্যবহার করবেন না। ঝামা পাথর দিয়ে বেশি ঘষতে গেলে ত্বক কেটে যেতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীরা মৃত ত্বক ওঠাতে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। কী করবেন : • পায়ের আর্দ্রতা রক্ষা করতে ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। পা পরিষ্কার করে তোয়ালে দিয়ে চেপে পানি মুছে তারপর ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। পা ফাটারোধে উপকারী হলো পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ও গ্লিসারিন। • রাতে ঘুমানোর সময় পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে সুতি মোজা পরে শুতে পারেন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা হবে। • পা ফেটে রক্ত বের হলে বা সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো। সূত্র : প্রথম আলো