ডিবিএন ডেস্কঃ পা দিয়ে লিখে টানা চারবার জিপিএ ৫ পেয়েছেন যশোরের ঝিকরগাছার তামান্না আক্তার নূরা। জিপিএ-৫ পাওয়া অদম্য তামান্না আক্তার নূরার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ও সন্ধ্যায় পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে কল দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা। একই সঙ্গে তাঁরা দুই বোনই তামান্নার স্বপ্নপূরণে সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জন্ম থেকেই দুটি হাত ও একটি পা নেই তামান্না আক্তার নূরার। বাঁকড়ার আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। সেই তামান্নাই এক পায়ে লিখে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর আগে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় তিনি জিপিএ-৫ অর্জন করেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার এইচএসসিতেও রয়েছে। তার স্বপ্ন এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিসিএস ক্যাডার ও গবেষক হওয়া।
বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সামছুর রহমান জানান, তামান্না আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী। তামান্না প্রতিবন্ধকতা জয় করে সমাজকে দেখিয়ে দিয়েছে। শুধু পড়াশোনা না, তামান্না ভালো ছবিও আঁকে। এমনকি কম্পিউটার প্রযুক্তিতেও সে দক্ষ। জন্ম থেকেই তার দুটি হাত ও একটা পা নেই। অথচ একটা পা দিয়েই তামান্নার যুদ্ধ চলছে। আমি আশা করি সে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবে।
তামান্নার বাবা রওশন আলী বলেন, ছোটবেলা থেকেই তামান্নার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি উপলব্ধি করে এখন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে গবেষক হতে চায়।