আগামী আগস্টের মধ্যে ১৩শ ২০ মেগাওয়াটের পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দিনরাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকরা। ইতোমধ্যে কাজ শেষের পথে জেটি ও বয়লার একের। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ ও যারা আছেন তাদেরকে দক্ষ করার কথা ভাবছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী প্রকৌশলী রিফাত আল মাহমুদ বলেন,’কয়লা আনলোড করার জন্যে আমরা গ্রেডশীপ আনলোডার প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। এর মাধ্যমে জাহাজ থেকে কয়লা নিয়ে কনভেয়ার গ্যালারির মধ্যে দিয়ে দেয়া হবে।’
প্লান্টে আসা কয়লা পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে পানিকে স্টিম করা আর সেই স্টিমকে সবেগে টারবাইনের মাধ্যমে পাঠিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য শেষের পথে বয়লার এক ও টারবাইনের কাজ। আর প্লান্ট থেকে নির্গত ধোঁয়া যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে, সে জন্য নির্মাণাধীন ২শ ৭৫ মিটার চিমনির ২৫ মিটার সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো তারিকুর নুর বলেন, ‘৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। টারবাইন অল্টারনেটর এরইমধ্যে বসে গেছে।’
এদিকে বয়লার ও টারবাইন বাদে পুরো ১শ একর জুড়ে চলছে আরো বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণ কাজ। যার মধ্যে আছে প্রশাসনিক ভবন,ডরমেটরি ভবন, আরো একটি ১৩শ ২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ প্লান্ট,৩৬শ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎ প্লান্টস। তবে আগামী এপ্রিলে বয়লার এক থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় আগস্টের মধ্যে শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।
এই বিদ্যুৎ প্লান্টের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। শুধু ১৩শ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর সাথে যুক্ত হচ্ছে আরো ১৩শ ২০ মেগাওয়াট কয়লা ও ৩৬শ মেগাওয়াট গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর তখন দেশের সবথেকে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরিণত হবে এটি।