প্রায় দুই দশক পর এলাকাবাসী পেয়েছিলো একটি নয় দুটি সেতু, সাম্প্রতিক বন্যায় ভেঙ্গে গেছে সেতু দুটিরই সংযোগ সড়ক। এতে করে ভেঙ্গে গিয়েছে সেতু দুটির দুইপাড়ের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা। তাই এলাকাবাসীর ব্যক্তি উদ্যেগে বাঁশের তৈরি মই বানিয়ে সেতু দুটির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছেন।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার হাজিরহাট বাজার থেকে গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ অভিমুখি ও হাজিরহাট বাজার থেকে বৈরাতী অভিমুখি যাতায়াতকালে এ দৃশ্য দেখা যায়।
প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথক দুই সংস্থা সেতু দুটি নির্মাণ করে। সদ্যোনির্মিত সেতু দুটি এখন কোনো কাজেই আসছে না এলাকাবাসীর। তাদের অভিযোগ, দুই সংস্থার সমন্বয়হীনতা ও ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনায় ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। ব্রীজ দুটির মধ্যে একটি ব্রীজ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বৈরাতী খালের ওপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজটি নির্মাণ করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বন্যায় সেতুটির সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেতু দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে ৩ কোটি টাকার সেতুটি কোনো কাজে আসছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর দু’পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। দু’পাশে কোনো সড়ক না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছে স্থানীয় হাজারো মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আঃ লতিফ, সুলতান সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর বিষয়ে ভালো পরিকল্পনা ছিল না। তাই এখন মই বেয়ে সেতু পারাপার হতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থায়নে সদ্যনির্মিত ব্রিজটির সংযোগ সড়ক তিস্তার ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ইতোমধ্যে সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে শিগগিরই রাস্তা নির্মাণ করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম রেজাউর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর সংযোগ সড়ক পরিদর্শন করা হয়েছে খুব দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করে জিও ব্যাগ দিয়ে স্হায়ী মেরামত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি