পাঠ্যপুস্তকের ভুল চিহ্নিত ও সংশোধনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে । আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভুল সংশোধনে এক মাস এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের ভুল এবং ভুল যারা করেছেন তাদের খুঁজে বের করতে দুটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি কমিটি সাত সদস্যের, অপরটি পাঁচ সদস্যের।
সাত সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চানকে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হালিম এবং বিএফ শাহিন কলেজের শিক্ষক আব্দুল মান্নান। এ কমিটির কাজ হবে পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি ও বিতর্কিত বিষয় খুঁজে বের করা। ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
অন্য কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। এ কমিটি ভুল-ভ্রান্তির জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত তাদের খুঁজে বের করবে। দ্বিতীয় কমিটির প্রতিবেদন দিতে হবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুলভ্রান্তি, তথ্য বিকৃতি ও ধর্মীয় উসকানি সংশোধনসহ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। যার একটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন