চলতি বছর পাটের চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে। এর আওতায় সারা দেশের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ জন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও মাঝারি কৃষক বিনা মূল্যে বীজ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি কৃষককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় এক কেজি বিজেআরআই তোষা পাট-৮ (রবি-১) জাতের বিএডিসির বীজ দেওয়া হবে। প্রণোদনার সরকারি আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে এবং শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, দেশে পাটের বীজের চাহিদার বড় অংশই ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।
বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রতি বছর দেশে পাট বীজের দরকার হয় প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু দেশে বীজের উৎপাদন হয় মাত্র ১ হাজার ৬০০ মেট্রিকটন। বাকি বাকি সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন আমাদের ইন্ডিয়া থেকে আমদানি করতে হয়, যা মোট বীজের ৭৩ শতাংশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা সময় আমরাই বীজ উৎপাদন করতাম। এখন ভারত থেকে বীজ আমদানির জন্য সরকারকে ১২০ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হয়।’
ড. মো. আবদুল আউয়াল আরও বলেন, আশির দশক পর্যন্ত পাটের বাজার জমজমাট ছিল। তারপর প্লাস্টিকের দৌরাত্ম্যের কারণে বৈদেশিক বাজারে পাটের চাহিদা কমে যায়। ১৯৭১ সালে ৯ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হতো, আর উৎপাদন হতো ১২ লাখ মেট্রিক টন। এখন পাট আবাদ হয় সাড়ে সাত লাখ হেক্টরে। উৎপাদন হয় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। চাষের জমি কমলেও উৎপাদন বেড়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম