আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। এরই মধ্যে পাকিস্তানে ৯ জন এবং আফগানিস্তানে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) পাকিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে এ ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি)।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) বরাতে এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫। ভূমিকম্পটি ১৮৭ কিলোমিটার (১১৬ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের জুর্ম শহরের ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে।
ভূমিকম্পে ইসলামাবাদ, লাহার, কুয়েত্তা, রাওয়ালপিন্ডি, পেশওয়ারসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রদেশ কেঁপে ওঠে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ৩ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি কম্পনের ঘটনা ঘটে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়া। সেখানকার আঞ্চলিক উদ্ধার সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে কোথাও কোথাও ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগের প্রাণই গেছে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে।
ভারতের নয়াদিল্লি, আফগানিস্তানের কাবুল এবং কাশ্মীরেও এ কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এসব অঞ্চলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার উদ্ধারকারী সংস্থা রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র বিলাল ফাইজি বলেন, সোয়াত উপত্যকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার হাসপাতালে অন্তত ২৫০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের ভূমিকম্প পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য সতর্ক থাকতে বলেছেন।
এর আগে ইসলামাবাদে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং ১৯ জানুয়ারি খাইবার পাখতুনখোয়ার কয়েকটি জেলায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন