পাকিস্তানে টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যস্ত দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। খাইবার পাখতুনওয়া, সিন্ধ প্রদেশ, গিলগিট বালতিস্তান ও পঞ্জাবে টানা বৃষ্টিতে শুধু জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েই পড়েনি। গতকাল রবিবার পর্যন্ত জলে ডুবে ও অন্যান্য কারণে ৫০ জন মারা গিয়েছেন। বন্যা প্লাবিত এলাকায় ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। যদিও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বন্যা দুর্গতরা ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত তিন দিন ধরে দেশের বেশ কয়েকটি টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলে ডুবে ও বাড়ি চাপা পড়ে গত তিন দিনে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনওয়ায় ১৯ জন, সিন্ধ প্রদেশে ১২ জন, পঞ্জাবে আটজন, গিলগিট বালতিস্তানে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
টানা বৃষ্টির ফলে সিন্ধপ্রদেশের দাদু জেলায় বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারীরা শতাধিক বন্যা দুর্গতকে উদ্ধার করেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশে প্রতি বছর বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও হুঁশ ফেরেনি কোনও সরকারের। প্রত্যেক বছরেই বন্যসায় প্রচুর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। বন্যা রুখতে সরকারের পরিকল্পনার অভাব নিয়ে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি রুখতে সরকার কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, বন্যা দুর্গতদের জন্য যে আশ্রয় শিবির তৈরি করা হয়েছে তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। ঠিকমতো ত্রাণ মিলছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের আধিকারিকরা।