আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩ জনে দাড়িয়েছে। নিহত ৬৩ জনের মধ্যে ৫১ জনের পরিচয় পাওয়া গেল ১২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে সিন্ধুর ঘোটকি জেলার দারকি শহরের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন নিউজ।
ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মিল্লাত এক্সপ্রেস করাচি থেকে সারগোদা যাওয়ার পথে লাইনচ্যুত হয়ে ডাউন ট্রাকে চলে যায়, এ কারণে রাওয়ালপিন্ডি থেকে আসা স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেসের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় রাইতি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে বিভাগের এক মুখপাত্র। ট্রেন দুটিতে ১২০০ জনের মতো যাত্রী ছিল।
ঘোটকির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) উসমান আব্দুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় অন্তত ৬০ জন নিহত ও আরও ১০০ জন আহত হয়েছেন। আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উল্টে পড়া বগিগুলো থেকে লোকজনকে এখনো উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় ১৩ থেকে ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে আর ছয় থেকে আটটি বগি ‘পুরোপুরি ধ্বংস’ হয়ে গেছে। এখনো আটকা পড়ে থাকা লোকজনকে বের করে আনা উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ দুর্ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং “রেলওয়ের নিরাপত্তা ফল্ট লাইনের” তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৯০ সালে দক্ষিণ পাকিস্তানে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সাথে একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ২১০ জন নিহত হয় যা পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রেল বিপর্যয় ছিলো।