পাকিস্তানে ট্রেনের ধাক্কায় একটি বাসের ২০ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও আটজন। হতাহতরা সবাই শিখ এবং তারা তীর্থযাত্রায় যাচ্ছিলেন। শুক্রবার (৩ জুলাই) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর শেইখুপুরাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন জানিয়েছে,স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে শেইখুপুরার কাছে একটি ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী বাসটিকে ধাক্কা দেয় করাচি-লাহোর এক্সপ্রেস ট্রেন। বাসটির যাত্রীরা শিখদের তীর্থস্থান নানকানা থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিলেন।
পাকিস্তানের রেল আধিকারিকরা জানিয়েছে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে রেল এবং জেলার উদ্ধারকারী দল। আহতদের শেখুপুরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানের রেলগেট বন্ধ ছিল। কিন্তু চালক হয়তো গাড়ি দাঁড় না করিয়ে শটকার্ট দিয়ে বেরোতে চান। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে শেইখুপুরার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন জানান, বাসটিতে ২৫ থেকে ২৬ জন যাত্রী ছিল। রেলক্রসিংটি বন্ধ থাকায় রাস্তা সংক্ষেপ করতে বাসের চালক অন্যপথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় দ্রুত গতির একটি ট্রেন বাসটিকে ধাক্কা দেয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে শিখ তীর্থযাত্রীদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ব্যথিত। এই দুঃখের সময় তাঁদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। যে তীর্থযাত্রীরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ সুত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস।