পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে পিটিআই নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে রোববার পুলিশি বাধায় ইসলামাবাদে ঢুকতে ব্যর্থ হয় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। খবর-সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ।
ডন নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইমরান খানের ‘চূড়ান্ত ডাক’ এর আহ্বানে রোববার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইসলামাবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দিতে গাড়িবহর নিয়ে ছুটে আসে সমর্থকরা। খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা আলী আমিন গান্দাপুরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে যুক্ত হন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও।
পিটিআইয়ের এ বিক্ষোভকে বেআইনি ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এর আগে ইসলামাবাদে দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। নিষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের সভা-সমাবেশ। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
রোববার শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। এসময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। এ সময় শত শত সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু চূড়ান্ত বিক্ষোভে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে রাজধানীতে থাকার এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান। তাই সোমবার ইসলামাবাদের ডি চক এলাকায় সমবেত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা। তবে আজও শক্ত প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিশেষ করে আজ তিন দিনের সরকারি সফরে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের ইসলামাবাদে পৌঁছার কথা রয়েছে। সে উপলক্ষে রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদে প্রবেশের সবগুলো রাস্তা।
প্রসঙ্গত, ৭২ বছর বয়সী ইমরান খান দুর্নীতির অভিযোগে ৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অবশ্য আইনি সমস্যার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনও পাকিস্তানে জনপ্রিয়।
আজ ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৩০ | সোমবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি