পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহতদের মধ্যে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ভয়াবহ ওই বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর জেলায় জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) দলের সমাবেশ চলাকালে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে অন্তত ২০০ জন গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের হাসপাতালে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার পাশাপাশি আশঙ্কাজনক রোগীদের হেলিকপ্টারযোগে পেশোয়ারসহ অন্যান্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে।
এ বিষয়ে কেপির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রিয়াজ আনোয়ার বলেছেন, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। বোমা বহনকারী ব্যক্তি মঞ্চের কাছাকাছি এসে নিজের শরীররেই বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলায় নিহতদের মধ্যে জেইউআই-এফ দলের তহসিল খারের আমির জিয়াউল্লাহ জানও রয়েছেন। বাজাউর জেলার সরকারি এক কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কেপি পুলিশের মহাপরিদর্শক আখতার হায়াত খান বলেন, বোমা বিস্ফোরণে ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বল বিয়ারিং ও অন্যান্য বিস্ফোরক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, অপরাধীদের শনাক্ত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শওকত আব্বাস জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ৮৩ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খার ডিএইচকিউ হাসপাতালের ডা. নসিব গুল আশঙ্কা করছেন নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ আহতদের মধ্যে কয়েকজন এখনও গুরুতর।
পাকিস্তান সিটিডির এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, দলটিকে চিহ্নিত করেছি এবং বর্তমানে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।
উল্লেখ্য, রোববার (৩০ জুলাই) প্রদেশের বাজাউর জেলায় রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলামা ইসলাম- ফজলের (জেইউই-এফ) সম্মেলনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জান নিহত হন।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি