পাকিস্তানের সামনে কিউইদের রানের পাহাড়। জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ইতিহাস। ৪০২ রান তোলা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি যেকোন দলের জন্যই। তবে বাবর আজমরা যদি নিউজিল্যান্ডকে টপকাতে চান, তবে সেই লক্ষ্য আরও বেশি কঠিন হতে চলেছে।
চলমান বিশ্বকাপে রেকর্ডগড়া তৃতীয় সেঞ্চুরি করা রাচিন রবীন্দ্র’র ১০৮ এবং অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের ৯৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪০১ রান। আর সেমিফাইনালে খেলতে হলে ৩৫ ওভারের মধ্যে করতে হবে সে রান।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চলমান ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দারুণ ছন্দ নিয়ে বিশ্বকাপ আসর শুরু করা নিউজিল্যান্ড মাঝপথে হোঁচট খায়। তাদের সেমিফাইনালে ওঠার পথটা কঠিন করে তোলে টানা তিন পরাজয়। তবে সেই দৌড় আজ মসৃণ করে তুলেছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কিউই ব্যাটাররা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। পাক পেসার হাসান আলীর বলে ৩৫ করে কনওয়ে ফিরলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন।
সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে আউট হন কাপ্তান উইলিয়ামসন। ইফতিখারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৯৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১৫টি চার ও ১টি ছয় মারেন। তাকে আউট করেন ওয়াসিম জুনিয়র।
এরপর মার্ক চাপম্যান ও ড্যারেল মিচেলরা নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন। দলীয় ৩১৮ রানে বিদায় নেন মিচেল। ১৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। চাপম্যান ২৭ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সেই ওয়াসিমের বলে। মাত্র ২৫ বলে ৪১ রান যোগ করেন গ্লেন ফিলিপসও। তার উইকেটও নেন ওয়াসিম। মিচেল স্যান্টনার ফিলিপসকে ভালো সঙ্গ দিয়ে করেন ২৬ রান। টম লাথামের ব্যাট থেকে আসে ২ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ওয়াসিম জুনিয়র। ৯০ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন শাহিন আফ্রিদি। ৮৫ রানে ১ উইকেট নেন হারিস রউফ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ (৪৪/১), ৬.৫ ওভার
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম