খুলনার পাইকগাছা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিশুদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে ১১ কিশোর কিশোরী ক্লাব। যেখানে সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার গানসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ৩০ টাকার পুষ্টিকর নাস্তা। কিন্তু সরজমিয়ে দেখা যায় তাদেরকে এক প্যাকেট ড্রাই কেক যাতে দুটো থাকে ও এক প্যাকেট বিস্কুট যার খুচরা মুল্য ১০ টাকা পাইকারি ৮ টাকা। একটা ক্লাবে সপ্তাহে ১৮ ‘শ টাকার নাস্তা দেয়ার কথা।
এছাড়া কোন কেন্দ্রে উপস্থিত সর্বোচ্চ ২২-থেকে ২৪ জন। সপ্তাহে ১৯ হাজার ৮ ‘শ টাকার নাস্তা দেয়ার কথা কিন্তু সেখানে গড়ে ২০ জনের উপসস্থিতি দেখালেও ৮ ‘শ টাকার নাস্তা কেন্দ্রে দেয়া হয়। ১১ টি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৮ টাকা নাস্তার জন্য খরচ করে। বাকী ১১ হাজার টাকা সপ্তাহে আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
এদিকে মহিহারী বাবদ গত ডিসেম্বর মাসে প্রতি কেন্দ্রে ৩ হাজার করে ১১ টি কেন্দ্রে ৩৩ হাজার টাকা বাজেট দেয়া হয়েছে। যার একটি টাকাও আজও কোন কেন্দ্রে দেয়া হয়নি।
তবে জেন্ডার প্রোকটর বজলুর রহমান ও শিক্ষক হিরণম্ময় চক্রবর্তী জানান সাংবাদিকরা খোঁজ খবর নেয়ার পর স্যার আমাদের হারমনিয়াম ও তবলা যদি নষ্ট হয়ে থাকে ঠিক করে দিতে চেয়েছেন। বিভিন্ন দিবস পালন না করে খাতা কলমে দেখিয়ে অনিয়ম করেছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন না করেও পুরাতন ছেড়া নোংরা বই পুরস্কার হিসেবে কারো বাড়ীতে পৌছে দেয়া হয়েছে এমনটি জানা গেছে। ১৭ মাচ জাতীয় শিশু দিবস দায়সারা ভাবে দু- একটি কেন্দ্রে ১৬ মার্চ পালন করা হয়েছে।
শিক্ষক ও সদস্যরা জানান যেভাবে কর্মকর্তা বলেছেন সেভাবেই পালন করছি।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার সব কিছু অস্বীকার করে শিক্ষকদের উপর দায় চাপিয়ে বলেন আমি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালণ করছি। আমি কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি করি নাই।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:১৯ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ বাপ্পি