চামড়া বাংলাদেশে বড় একটি রাজস্ব উৎপাদন খাত। আগে শুধু ব্লু চামড়া বিদেশে রপ্তানি হত। এখন বাংলাদেশেই ফিনিসড চামড়া উৎপাদিত হয়। বিদেশে রপ্তানি ছাড়াও চামড়ার তৈরি পন্য রপ্তানি হয়। এই খাতে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি হয় দেশে। এই লাভজনক শিল্পটির প্রায় ৮০% ভাগ কাঁচামাল সংগৃহিত হয় দুই ঈদে। কয়েক বছর ধরে কোরবানীর চামড়া মূল্য না পেয়ে অবিকৃত থেকেছে। সিন্ডিকেট করে টেনারির মালীকরা চামড়া কিনতে গড়িমসি করেছে। ব্যবসায়ীরা অবিকৃত চামড়া রাস্তায় ফেলে রেখে চলেগেছে। সিটি কর্পোরেশন দুর্গন্ধ এড়াতে মাটিতে গর্ত করে পুতে দিয়েগেছে। চড়া সূদে ঋন নিয়ে ব্যবসায়িরা পুজি হারিয়েছে। চামড়া বিক্রি করতে না পেরে কান্নাকাটির দৃশ্য টেলিভিশনেই দেখা গেছে। সরকার দাম নির্ধারন করে দিলেও সেই দামে টেনারীগুলি চামড়া কিনে নি। অবিকৃত ছাড়াও বিশাল অঙ্কের চামড়া বিনষ্ট হয়েছে। অথচ শুধু লবন ছিটিয়েই এই চামড়া সংরক্ষন করা যায় এক বছরেরও বেশী।সরকার উদ্যোগ নিলে কোরবানীর চামড়া সংরক্ষন করা সম্ভব। টেনারীর মালীকদের ফেক্টরি চালাতে কাঁচামাল কিনতেই হবে। সরকারের কাছ চামড়া বিক্রি করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হতে পারে, রাষ্ট্রিয় সম্পদটিও রক্ষা পেতে পারে। এই চামড়া টেনারীর মালীকদেরও কিনতে হবে। দুই ভাবেই রাজস্ব উৎপাদন হতে পারে। দেশের সম্পদ বিনষ্ট হতে দেওয়া কোনভাভেই কাম্য নয়। সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয় চামড়া সংরক্ষন নীতিমালা প্রনয়ন করে চামড়া রক্ষার উদ্যোগ নিবে আশা করি। দেশের প্রতিটি উৎপাদন শিল্পকে সুরক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।