পর্যাপ্ত মজুত-সরবরাহ সত্ত্বেও গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাজারে প্রায় সব জাতের চালের দাম বেড়েছে। প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কোরবানির ঈদে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং রাইস মিল বন্ধ থাকায় এই দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
টিসিবি বলছে, মাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি মোটা চাল ২ দশমিক ১৫ শতাংশ বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গত বছর একই সময়ের তুলনায় বিক্রি হচ্ছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি দরে। পাশাপাশি মাঝারি আকারের প্রতি কেজি চাল মাসের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও গত বছর একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সরু চাল মাসের ব্যবধানে ১ দশমিক ৫৯ ও গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন রাজধানীর খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে প্রতি কেজি চাল (মোটা জাতের) কিনতে ৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘গত বছর থেকেই চালের দাম বাড়তি। সবার ধারণা ছিল আমন মৌসুমে দাম স্বাভাবিক হবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে চাল। তাই ক্রেতা তথা নিম্ন আয়ের মানুষের আরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। চাল কিনতে অতিরিক্ত এই ব্যয়ের প্রভাব অন্যান্য চাহিদার ওপর পড়ছে। তাই চালের দাম কমাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। তদারকি জোরদার করতে হবে। অনিয়ম পেলে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বাংলাদেশ মেজর ও অটো মেজর হাসকিং মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও মিল মালিক শহীদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন গণমাধ্যমকে জানান, চালের দাম বাড়লেই আমাদের দোষ হয়। কিন্তু এখন ধানের দাম বাড়তি থাকায় চাল প্রসেসিংয়ে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। যে কারণে মিল পর্যায় থেকে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, কৃষকদের পাশাপাশি ধানের মৌসুমি ব্যবসায়ী এখন ধান মজুদ করছে। দাম বেশি না হলে তারা বাজারে ছাড়ছেন না। এ কারণে বাজারে ধানের দাম বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। বিআর-২৮ চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা। মোটা জাতের মধ্যে স্বর্ণা চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম