তিমির বনিক, মৌলভীবাজারঃ উঁচু নিচু পাহাড়ী টিলা। পুরো জায়গা জুড়ে সবুজের হাতছানি। গাছ আর উঁচু টিলা মিলে হয়েছে সবুজের মহামিলন। বেশি আকর্ষণ মন কাড়াঁনো টিলার উপর থেকে বিস্তৃত চারদিক। গত তিন বছর থেকে প্রচলিত হয়েছে কা’শ্মীর টিলা নামে। তবে এবছর ঈদের মৌসুমে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা আসছেন এই জায়গায়।পরিবেশ বান্ধব ও প্রকৃতির নানান ছোঁয়ায় আবদ্ধ হওয়ায় স্থানটির প্রতিটা দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। ফলে ভ্রমণপিপাসু, রমজানের ইফতার আয়োজন সহ ঈদ উদযাপনে প্রচুর পর্যট’কদের দেখা মেলে এখানে।
সৌন্দর্য যেন চোখ ফেরাতে বাধাঁ দেয়, সবুজ ঘাসের দৃশ্য বারংবার উপভোগে নিমগ্ন করে। সুন্দরতার পাহাড়া দিচ্ছে যেন পেছনের দাঁড়িয়ে থাকা সেগুন গাছ। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই গাছ গুলোর নেতৃত্ব বহুকাল আগের।
স্থানীয় পরিবেশ কর্মী খোরশেদ আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত ৩ বছর আগে শাহীন আহম’দ নামের এক পর্যট’ক ঘুরতে আসেন আমাদের এলাকায়। তিনি সবকিছু ঘুরার পর এই টিলায় একবার যান। তার কিছুদিন পর সাময়িকী’ একটি বইয়ে উনার একটি লেখা ছাপা হয়। সেখানে তিনি এই টিলার সৌন্দর্য বলতে গিয়ে কা’শ্মীরি টিলা নামে লিখেন। এরপর থেকে আম’রা এই টিলাকে কা’শ্মীরি টিলা নামে প্রচার করতে থাকি।স্থানটি মৌলভীবাজার জে’লার সীমান্তবর্তী জুড়ী উপজে’লার গোয়ালবাড়ী ইউপি শুকনা ছড়া এলাকায় অবস্থিত।
ঘুরতে আসা পর্যট’কেরা বলেন, স্থানটি অবশ্যই প্রকৃতি প্রে’মিকদের এক তৃপ্তির অধ্যায় হিসেবে গণ্য। চোখের সামনে ধারণিত এই স্থানটি অ’তীতে কারো নজরে ছিলো না। এখন আমি সহ আমা’র আশেপাশের অনেকেই এখানে উপভোগে জ’ড়িত হই। প্রতিদিন শত শত বাইক নিয়ে অনেক পর্যট’করা এখানে আসছেন।
যেভাবে যাবেন: মৌলভীবাজার থেকে জুড়ী বাজারে আসার পর উঠতে হবে কচুরগুল এলাকার গাড়িতে। পরে রাস্তায় নামতে হবে কালামাটি এলাকায় (সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার হবে)। সেখানে একটা চা স্টল আছে, কা’শ্মীর টিলার কথা জিজ্ঞেস করলে মানুষ দেখিয়ে দিবে কোন দিকে যাওয়ার রাস্তা। হেঁটে যেতে হবে সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের রাস্তা। আর বাইকে অথবা একটা সিএনজি রিজার্ভ করে নিয়ে আসলে সরাসরি মুল জায়গাতেই যাওয়া যাবে। স্থানটির প্রতিটা দৃশ্য প্রশংসনীয়, পর্যট’কদের এক প্রকার প্রশান্তির সুখ। এরকম একটা যায়গায় জড়ো হওয়া সত্যি ভাগ্যের ছোঁয়া।
খোরশেদ আলম আরও বলেন, জুড়ী উপজে’লায় আমা’র দেখা দৃষ্টিনন্দন স্থানের মধ্যে অন্যতম স্থান কা’শ্মীর টিলা। স্থানটি পরিবেশগত ভূমিকা পালনে অটল, বিধায় এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হতে পারে।