ডিবিএন ডেস্কঃ পরপর দুইবার বন্যার পর অনেকটাই নতুন করে সেজে উঠেছে সুনামগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র টাঙ্গুয়ার হাওর। কিন্তু এখনও খুব বেশি পর্যটকের দেখা নেই এখানে। ফলে ঘাটে বাঁধা নৌকাগুলোতে বেকার সময় কাটছে নৌ শ্রমিকদের। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরাও। পর্টকদের টাঙ্গুয়ামুখী করতে চেষ্টা করছে সেখানকার প্রশাসনও।
সুনামগঞ্জের পর্যটন খাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনও। জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখন আমাদের নদী এবং হাওরের পানি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। এখন আসলে নির্বিঘ্নে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। আমি পর্যটকদের প্রতি আহ্বান করছি, আপনারা যদি সুনামগঞ্জে আসতে চান, তাহলে এখনই উপযুক্ত সময়।
পর্যটকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে নৌকার পেছনে কাজ করেন বহু শ্রমিক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে তাদের পরিশ্রম। এই আয় দিয়েই সংসার চলে তাদের। তবে এবারের বন্যার পর এসব শ্রমিকের জীবন-জীবিকায় টানাপোড়েন এসেছে। পর্যটক না থাকায় ঘাটে পড়ে আছে বেশিরভাগ নৌকা।
এবারের মৌসুমে পর্যটকদের জন্য বিলাশবহুল নৌকার বহরে যুক্ত হয়েছিল নতুন ২০টি হাউজবোট। সেবার মান বাড়িয়ে প্রতিটিতে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেন নৌযান মালিকরা। কিন্তু সেই ব্যবসায় ভাটা পড়েছে তাদের।
নৌযান মালিক তাহির মোহাম্মদ তৌকির জানান, অনেক মানুষ মনে করছেন সুনামগঞ্জে এখনও বন্যা চলছে। আমরা অনেক কল পাই, যেখানে পর্যটকরা জিজ্ঞেস করেন, সুনামগঞ্জে বন্যা চলছে কিনা। তাই এই বিষয়টি তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে যে, এখানে বন্যা পরিস্থিতি অনেক আগেই শেষ।
উল্লেখ্য, দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অন্যতম সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর। ভারত সীমান্তঘেঁষা এলাকায় মেঘ-পাহাড় আর হাওরের দিগন্তজোড়া জলরাশি দেখতে প্রতিবছর ঢল নামে হাজারো পর্যটকের। হাওর বিলাশ আর আনন্দ আড্ডায় মেতে ওঠেন পর্যটকরা। নৌকাতেই খাওয়া-দাওয়া আর রাত্রীযাপনসহ নির্ধারিত প্যাকেজে রয়েছে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। তাই এখানে ছুটির দিনে প্রশান্তি খোঁজেন নানা বয়সের মানুষ।