আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তীব্র দাবানল নরকের রুপ ধারণ করেছে ইউরোপজুড়ে। ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কোতে ছড়িয়েছে আগুন। তবে দাবানলের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি ভয়াবহতা স্পেন ও পর্তুগালে। এ পর্যন্ত দেশ দুটিতে অন্তত ১১৬৯ জন মানুষ দাবানলে প্রাণ হারিয়েছে। লাখো মানুষকে সরিয়ে নিয়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।
সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের মাধ্যমে জানা যায়, স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, ১০ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে তাপজনিত সমস্যায় কমপক্ষে ৫১০ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে পর্তুগালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ জুলাই থেকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে দেশটিতে তাপজনিত কারণে ৬৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার এক দিনে দেশটিতে ২৭৩ জন মারা গেছেন।
আবার স্পেনে গত সোমবার সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে সবোর্চ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এদিন যুক্তরাজ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ফ্রান্সে এরই মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ফ্রান্সের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ফ্রান্সের পশ্চিমের শহর নান্তেসে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
গত সোমবার নেদারল্যান্ডসে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আশঙ্কা করা হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে জার্মানি ও বেলজিয়ামে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। গত বৃহস্পতিবার পর্তুগালের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি এলাকায় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যা জুলাই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড এই তাপদাহে বেঁকে গেছে রেললাইন। লন্ডনের চারপাশের বেশ কয়েকটি এলাকাজুড়ে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছে আগুন। জ্বলেপুড়ে ছারখার হচ্ছে ঘরবাড়ি। ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন রাজধানীতে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় ভ্রমণ ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।