মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের মাছের অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে পাখিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শীতে নতুন করে পাখির প্রজাতি এবং সংখ্যা বেড়েছে। গত শনিবার বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য ও বিশিষ্ট পাখি বিশেষজ্ঞ ড. পল থমসনের তত্ত্বাবধানে পাখিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এই পাখিশুমারিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসরাত জাহান এবং সামিউল মোহসেনিন।
চলতি বছর জলচর পরিযায়ী পাখির প্রজাতির সংখ্যা এবং পাখির সংখ্যা দুটোই বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ৩৮ প্রজাতির ৭৮৭০টি পরিযায়ী পাখি বিচরণ করছে।
২০২৪ সালে ছিল ৩৩ প্রজাতির ৪৬১৫টি। ২০২৩ সালে ৪০ প্রজাতির ৬১৪১টি পরিযায়ী পাখির উপস্থিডু পাওয়া যায় বাইক্কা বিলে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পাখি পর্যবেক্ষণ এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারবেশন সোসাইটির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সামিউল মোহসেনিন এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, এ বছর বাইক্কা বিলে শীতকালীন জলচর পাখি গণনা করে তারা ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৮৭০টি পাখির দেখা পেয়েছেন। ২০২৪ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ জলচর পাখি দেখা গিয়েছেল এবং ২০২৩ সালে দেখা দেখা যায় ৪০ প্রজাতির ৬ হাজার ১৪১ জলচর পাখির। এ সংখ্যা বিগত দুই বছরের চেয়ে বেশি। সংখ্যা পরিবর্তিত হয়। কোনো কোনো বছর ডিসেম্বর বা ফেব্রুয়ারিতে বেশি দেখা যায়। পরিযায়ী পাখির সংখ্যা নির্ভর করে জলস্তর, আগের মৌসুমের পরিস্থিতি এবং পরিযায়ন পথের ওপর।
পাখি গণনায় অংশ নেওয়া সামিউল মহসিন জানান, এই বছর পাখি গণনায় উল্লেখযোগ্য ৭৫০ মেটে মাথা টিটি (গ্রে-হেডেড ল্যাপউইং) এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক কাস্তেচরা- ৬৩৯টি এবং কালা ১০০টি। অভয়ারণ্য বাইক্কা বিলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের আরও সতর্কতার সহিত নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে শিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এমনটাই দাবি পাখি ও পরিবেশ প্রেমীদের।
আজ ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:১১ | বুধবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি