অনেকে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করা, জীবন যাপনে অনিয়মের কারণে কিডনিজনিত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরিবারের যারা কিডনি দান করতে পারবেন আর যাদের থেকে নেয়া যাবেনা সে বিষয়ে আজ জানবো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম বলেছেন, পরিবারের সদস্য যারা রয়েছেন, যারা কিডনি দিতে চান ভুক্তভোগী রোগীকে, সে ক্ষেত্রে তাদের কী কী অসুবিধা থাকলে বা কী রেস্ট্রিকশনের মধ্যে তাদের আপনারা নিয়ে আসেন যে তিনি দিতে পারবেন না চাইলেও, এ বিষয়ে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে বাবা-মা হোক, ভাইবোন হোক, আমরা আগে দেখি বয়সটা। যত ইয়াং হবে, কিডনিটা তত বেশি ফাংশনিং। যেমন ধরা যাক, একজন ডোনারের বয়স ৫০ এর বেশি, আরেক জনের বয়স ৩০ বছর। ৫০ এর পরে বয়সের কারণেও কিন্তু প্রতি বছর ১ শতাংশ করে কিডনির কার্যকারিতা কমতে থাকে। সেটা এজিং প্রসেসিংয়ের জন্য। আর যে ইয়াং, তার কিডনিটা অনেক ভালো। সেটার একটা ফ্যাক্টর আছে। যার বিকল্প থাকবে না, সেটা অন্য কথা। আমরা ইয়াং ডোনার চুজ করি। এরপর আমরা দেখি যে দিচ্ছে, সবচেয়ে আগে তার ব্লাড গ্রুপের মিল থাকতে হবে। টিস্যু ম্যাচিং থাকতে হবে। আপনজনদের সাথে ম্যাচিং, বাবা-মায়ের সাথে কিন্তু ম্যাচিং হবেই। যদি রিয়েল প্যারেন্টস হয়, ৫০% ম্যাচিং হবে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তিনি আরও বলেন, ভাইবোনের মধ্যে দেখা যায়, ২৫% এর মধ্যে ১০০% ম্যাচিং হবে। ৫০% এর ৫০% ম্যাচিং হবে এবং বাকি ২৫% নো ম্যাচিং। এটা কিন্তু জেনেটিক্যালি ওইভাবে ডিসাইডেড থাকে। বলা হয়, ভাইবোন হলো গুড ম্যাচিং, যাদের ১০০% ম্যাচিং হয়ে যায়, যেটা আমরা ফুল হাউজ ম্যাচ বলি। এর পরের স্টেপ আসবে, তার কোনও কিডনি রোগ আছে কি না। কারণ, মেইন উদ্দেশ্য থাকে যে একজন অসুস্থ মানুষকে বাঁচানোর জন্য একজন সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করব না। এটা ইথিকস। কিন্তু যিনি সুস্থ আছেন, তার ভবিষ্যতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা মাথায় রেখেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
ডা. আছিয়া খানম বলেন, অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ডায়াবেটিস, হাইপ্রেশার; এই রোগগুলো আমরা অ্যাভয়েড করি বা কোনও রক্তরোগ থাকতে পারে, ক্যানসার থাকতে পারে; ব্রেইন টিউমার বাদে, যে টিউমার বডিতে ছড়ায়নি। এ রকম কিছু রোগ থাকে যে সে দিতে পারবে না। হেপাটাইসিস হলে দিতে পারবে না। ডোনারকে আগে আমরা স্ক্রিনিং করি। আমাদের মেইন প্রায়োরিটি থাকে ডোনার। যিনি অসুস্থ আছেন, তিনি তো অসুস্থ আছেনই। তার পরে তার কিডনিটা নেওয়া হয় তার জন্য। এখানে বয়স, কিডনির কার্যকারিতা, কার্ডিয়াক বা হার্ট ঠিক আছে কি না তার। ইয়াং হলে কোয়েশ্চেনগুলো কম আসে। কিন্তু বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে আসে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন