মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে দেশে আটকে পড়া সৌদি প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরাতে আজ ১ অক্টোবর থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০ টি করে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে সৌদি এয়ারলাইন্স ও ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান।
গতকাল বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মধ্যপ্রাচ্যের ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা কফিলের অনুমতি না পাওয়ায় সৌদিতে যেতে পারছেন না, তাদের বিকল্প চাকুরী খোঁজা দরকার। এখন পর্যন্ত বিদেশ থেকে করোনার কারণে ১ লাখ ৫৭ হাজার প্রবাসী ফিরে এসেছেন। এ দিকে, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, যে সব প্রবাসীরা সৌদি আরবে যেতে পারছেন না, তাদের জন্য বিকল্প উপায় খোঁজা হচ্ছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয়টি দেশ ও মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আকামা ভিসা এগুলো সব নিয়ে সৌদি আরবের সাথে আলাপ হয়েছে। আলাপের রেজাল্টটি এখনো পাইনি, এটার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আশাবাদী থেকেও আমাদের মাথায় রাখতে হবে, হয়তো নাও হতে পারে। ‘
গত বেশ কিছুদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে সৌদি প্রবাসী কর্মীদের ভিসা ও আকামার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় তাদের পুনরায় কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শত শত সৌদি প্রবাসী কর্মীর ভিসা, আকামার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
এ অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি ও সৌদি যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট পাওয়ার আশায় রাজধানীর রাজপথে আন্দোলন ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্স অফিসে ভিড় করছেন হাজার হাজার সৌদি প্রবাসী।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাস্তায় নামার কোন কারণ নেই। তাদের উচিত নতুন চাকরী খুঁজে বের করা। আপনার মালিক যদি নিতে না চায় আপনি কি করবেন? আমরা সরকার তো মালিককে জোর করে দিতে পারবো না। যাদের পুরনো কফিল নিচ্ছে না তারা নতুন কফিল ও খুঁজতে পারেন।’