স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সর্বশেষ ৪১ তম স্প্যানটি বসবে। এর মাধ্যমেই শেষ হবে সেতুর কাঠামোগত ভিত্তি। এর পর পরই শুরু হবে উপরে রাস্তা নির্মাণ আর নিচে রেল লাইন বসানোর কাজ। কতৃপক্ষের আশা ২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবসের আগেই সেতুর পুর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। পদ্মা পারাপার হবে রেল গাড়ি আর সড়ক পথে মোটর গাড়ি। দক্ষিণ বঙ্গের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরণ হবে আর দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব সাফল্য উন্মোচিত হবে।
এই সেতু নির্মাণে বহু বাঁধা এবং সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে সরকারকে। বি এন পি সরাসরি বিরোধীতা করেছে। বি এন পি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রাকাশ্য জনসভায় জনগণকে নিষেধ করেছেন পদ্মা সেতুতে উঠতে। বলেছেন -‘ভেঙ্গে পড়বে’। বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বরাদ্ধকৃত অর্থ ফেরৎ নিয়ে গেছে। দেশের বিরোধীতাকারীরা বিদেশী এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতির সন্ধান খুঁজতে। মামলা করেছে আদালতে। কানাডার আদালতে সেই মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, কোন দুর্নীতির আলামত খুঁজে পায়নি। পদ্মার স্রোত আর বালি সরে যাওয়াতে বিলম্বিত হয়েছে, খরচ বেড়েছে ডিজাইন পরিবর্তনে। অনেকে প্রচারণা চালিয়েছে সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবেনা। সব সমালোচনা মিথ্যা প্রমাণ করে পদ্মা সেতু এখন শুধু দৃশ্যমানই নয় বাস্তবতায় পরিণত হয়ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়াও আন্তঃবানিজ্যের পথ সুগম করে দিয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের সংগে।
বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রত্যাহারের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। অনেকেই তখন মুচকি হেসেছেন। তারাই এখন সেতু চলাচল শুরু হওয়ার আগে মৌলবাদের উগ্রতা ছড়িয়ে ভাস্কর্য ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছে দেশে। বিশ্ববাসী যখন শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল বলেন তখন, অর্ন্তরজ্বালায় পুড়ে ধ্বংসাত্বক রাজনীতির জন্য উগ্রবাদের সঙ্গে জোট বাধে উন্নয়ন বিরোধীরা। কিন্তু যোগ্য নেতৃত্ব হিংসাকে প্রশ্রয় দেয়না, হুমকিকেও ভয় করেনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই দেশপ্রেমেরই প্রমাণ দিয়েছেন লক্ষ্যে অবিচল থেকে। এটাই নেতৃত্ব, এটাই জননেতার নমুনা। এখন তিস্তা প্রকল্পও বাস্তবায়ন হবে, ভোলা সেতুও নির্মীত হবে দেশে। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণপুর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ দেশ।
জয় বাংলা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
৯ ডিসম্বর ২০২০