সপ্তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে কিলোমিটারে রূপ নিলো দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ৩৬ ও ৩৭নং পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর ফলে সেতুর ১ হাজার ৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সপ্তম স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে আনা হয় এটি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্প্যানটি ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কাজ শুরু হয়। পরে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে স্প্যানটি বসানো সম্পূর্ণ হয়। শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তের তীরের দিকে এটিই শেষ স্প্যান।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’ দিয়ে মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তে আনা হয়। জাজিরা নাওডোবা প্রান্তের ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রঙের স্প্যানটি বসানো হয়।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান ও সবশেষ গত ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়। এছাড়া মাওয়া প্রান্তে ষষ্ঠ স্প্যান বসানো হয়। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও স্প্যান প্রস্তুত করার কাজ বেশ দ্রুতগতিতে চলছে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও পাঁচটি স্প্যানের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ মাসের মধ্যে এসব স্প্যান প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই স্প্যানগুলো আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বসানো হবে।