জাতীয় ডেস্কঃ আজ শনিবার (২৫ জুন) গোটা জাতির স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন এর দিন। পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয় বরং এটি আমাদের উন্নয়ন, অহংকারের প্রতীক। আত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয়, যোগ্যতা সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রত্যয়ের ফসল।
পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের একটি প্রকল্প। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন। অন্যতম শক্তিশালী ও প্রভাবশালী বিশ্বনেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সেতু উদ্বোধন করছেন আজ। যার দূরদর্শিতা ও দৃঢ় মনোবল এবং সাহসী উদ্যোগ ও চেষ্টায় শত বাধা-বিপত্তি, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলা করে এই সেতু নির্মিত হয়েছে। গোটা জাতি উন্মুখ হয়ে আছে সেই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার জন্য। সবার জন্যই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারা বিশ্বে এ সেতু নিয়ে ইতিবাচক ও প্রশংসামূলক আলোচনা হচ্ছে। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদ্মা সেতুর জন্য ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি বলেন, এ সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। নানা চাপ, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলার পর বাঙালি পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে যে আমরাও পারি। ভবিষ্যতে আমরা আরো উন্নত কাজ করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক মন্তব্যে বলেছেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি স্থাপনা নয়। এটি এখন বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের গর্ব, আত্মমর্যাদা ও অহংকারের প্রতীক। এই সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব প্রতিটি বাঙালির, আপনার, আমার, আমাদের সবার। তিনি আরো লিখেছেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নদীবেষ্টিত ভূখণ্ড সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল ২-এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। সেখানে মোনাজাতেও যোগ দেন তিনি।