২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শুরু হয় দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর পাইলিংয়ের কাজ। কিন্তু যে পিলারে কাজ শুরু, সেখানেই দেখা দেয় জটিলতা। এরকম ২২টি পিলারে পাল্টে নিতে হয় নকশা।
সংশোধিত নকশায় কাজ হবে তো? সেটা নিয়েও সংশয় ছিলো। তবে দিন যত গড়িয়েছে, ততটা মিলেছে সাফল্য। যার চূড়ান্ত রূপ পেলো সেতুর শেষ পাইলটি ড্রাইভিংয়ের মধ্য দিয়ে।
রোববার সকাল থেকেই সাজসাজ রব। আনুষ্ঠানিকতা সেরে ২৬ নম্বর পিলারে শুরু হয় শেষ পাইলটি ড্রাইভিংয়ের কাজ। ১১৬ মিটারের পাইলটি জার্মানির তৈরি হ্যামারের ধাক্কায় একটু একটু করে প্রবেশ করতে থাকে নদীর তলদেশে। হ্যামারের বিকট শব্দে তখন আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত।
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সেতুর ২৯৪টি পাইলিংয়েরই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও আগে কাজ শেষ করতে পারলে তার কর্মীদের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা করে চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ফলে দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেন চীনের প্রকৌশলীরা।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, সব বাধা পার হয়ে আসাটা আমাদের জন্য বড় ব্যাপার।
৪২টি পিলারেরই পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হলেও এখনও কয়েকটি পিলারের ওপরের অংশে কাজ বাকি আছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে সেটাও শেষ করে আনা গেলে একসাথে দৃশ্যমান হবে সবগুলো পিলার।
পদ্মা সেতু নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনার সময় বেশ মোটা অক্ষরে লেখা থাকবে এ দিনটির কথা। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করার পরপর নকশা জটিলতা দেখা দিলে পাইলিংয়ের কাজ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তার সাড়ে তিন বছরের মাথায় পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা গেলো। সামনে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। এখন কত দ্রুত অন্যান্য কাজ দৃশ্যমান করা যায় অপেক্ষা তার।