আরও একটি স্প্যান সংযোজীত হল আজ পদ্মা সেতুর। প্রায় ৫ কিঃ মিঃ সেতুপথ এখন দৃশ্যমান। পদ্মার উপর সেতু নির্মাণ একসময় অসম্ভব মনে হত। সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছে বর্তমান সরকার। এতদিনে সেতুর উপর দিয়ে গাড়ী চলাচল করার কথা। কিন্তু শুরু থেকেই ষড়যন্ত্র চলেছে যেন সরকার এই সেতু নির্মাণ করতে না পারে। বিদেশী এজেন্ট ভাড়া করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ঋণের অর্থ ফেরৎ নিয়ে গেছে। খালেদা জিয়া প্রকাশ্য জনসভায় জনগনকে পদ্মা সেতুতে উঠতে নিষেধ করেছেন। বলেছেন তিনি পদ্মার উপর দুইটি সেতু নির্মাণ করে দিবেন। শুধু খালেদা জিয়াই-না আরও অনেক শিক্ষিত মানুষ এই সেতু নির্মাণের বিরোধীতা করেছে। বহু বিরোধ আর প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু এখন নির্মাণের শেষ পর্যায়ে। আর মাত্র ৪টি স্প্যান বসালেই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। সড়ক নির্মাণ হলেই পদ্মার উপর দিয়ে রেল এবং গাড়ী চলাচল করবে একসাথে।
বর্তমান সরকারের সবচাইতে বড় কৃতিত্ব হবে পদ্মা সেতু। দেশের জন্য হবে বিস্ময়কর সাফল্য। একটি পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুড়িয়ে দিবে। দক্ষিণ বঙ্গের সংগে সারা দেশের আন্তবানিজ্য সুগম হবে আর, দক্ষিণের অবহেলিত জনগোষ্ঠি হবে দেশ গড়ার অংশিদার। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ প্রান্তের মানুষের মনে প্রাণচাঞ্চল্য শুরু হয়ে গেছে। একসময় ফরিদপুর থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগত ১০ থেকে ১২ ঘন্টা। এখন ফরিদপুর থেকে মানূষ ঢাকায় গিয়ে ৮টা – ৫ টা অফিস করতে পারবে। যোগাযোগ সচল হলে ঢাকায় জনসংখ্যার চাপটিও কমে যাবে। পণ্য সরবরাহে পদ্মা সেতু হবে দেশের বানিজ্য সংযোগ। এবং নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সেতুর টোলের অর্থ রাজস্ব উৎপাদন করবে প্রতিদিন। কর্ম যোগাবে বহু মানুষের। তবে টোল আদায়ে আধুনিক এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিৎ হবে। ইজারার সুযোগ পেলে মস্তানী নিয়ন্ত্রণে ব্যাহত হবে সেতু সংস্কার ছাড়াও গাড়ী চলাচলের গতি।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
১৩ নভেম্বর ২০২০।