স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে নয়াপল্টনে অফিসের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে আগানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের এই আয়োজন করেছিল বিএনপি। বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সকাল থেকে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। সকাল থেকে পুলিশ আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। অনেকের ওপর হামলা করেছে। মিছিল শেষ হওয়ার আগেই তাদের মুক্তি দিতে হবে।
নয়াপল্টনে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিএনপির সমাবেশ চলছিল। তাদের মহাসচিবের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই তারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) মিছিল শুরু করেন। মহাসচিব বলেছেন কোনো মিছিল হবে না। তবু তারা মিছিল শুরু করে ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে লাঠিচার্জ করেছে। তাদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এরপরই মিছিল নিয়ে বের হতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তারা নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে টিয়ারশেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে।