নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকালে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মুহাম্মদ ফররুজ্জামান জুয়েলসহ ৮ জন পুলিশ সদস্য ও বিএনপির কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের ছোট বাজারে বিএনপি দলীয় অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালনের জন্য জেলা সদরের বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা জেলা শহরের ছোট বাজারস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়ে জেলা শহরের প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ সড়কে চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বলে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নিতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েলসহ অন্তত ৮ জন পুলিশ সদস্য, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-আহ্বায়ক অরক আহমেদ, সুজন চৌধুরী, মৌগাতি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তিলক আহমেদ, সিংহের বাংলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নেত্রকোনা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদল নেতা দুলন, পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন-আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাপ্পীসহ কমপক্ষে ২২জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হক জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকমর্কীরা মিছিল করে দলীয় অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকে। এ সময় নেতাকর্মীদের ভিড় জমে যায়। পরে পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০-১২ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, বিএনপি কর্মসূচি পালনের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কর্মীরা সড়ক বন্ধ করে রাখে। এতে যানবাহনসহ জনগণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ এসে সড়ক ফাঁকা করতে চাইলে পুলিশের উপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এখন জেলা শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।