মো.কামরুজ্জামান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। রবিবার (২ মে) রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, কাইটাইল গ্রামের পরিমল, মারজান, আলমগীর, রহমত আলী, আলীম, শরীফ, সজিব ও আশাদুল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে কাইটাইল গ্রামের রহমত আলীর ছেলে রাজিব মিয়া তার অটো রিকশায় যাত্রী নিয়ে খাগুরিয়া গ্রামে আসেন। সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পাকা রাস্তায় আসলে সাইকেল সাইড দেয়া নিয়ে খাগুরিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব মিয়ার ছেলের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে কাইটাইল ইউনিয়নের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাইটাইল গ্রামের কেনু মিয়ার নেতৃত্বে রাজিব মিয়াসহ ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খাগুরিয়া গ্রামে এ হামলা চালায়। এসময় শাহীন মিয়াসহ কয়েকজন আহত হয়।আহতদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কেনু মিয়াসহ নয়জনকে আটক করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ কেনু মিয়াকে ছেড়ে দিয়ে বাকি আটজনকে থানায় নিয়ে যায়।
কাইটাইল ইউনিয়নের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কেনু মিয়া বলেন, আমি ঘটনাটি মীমাংসা করতে এসেছিলাম। মীমাংসা করতে আসলে যে ঝামেলা বাড়বে তা বুঝতে পারিনি।
কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। এর বিচার হওয়া দরকার।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।