মো. কামরুজ্জামান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা বলাইশিমুল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সুজন মিয়া, পিতা মৃত কেরামত আলীর, এক ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে, এলাকাবাসীর কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
প্রভাবশালী ব্যক্তিরা হলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন পিতা-মৃত আব্দুল আউয়াল, শাহিন আলম, পিতা মৃত নুরুল আমিন, রুবেল মিয়া, পিতা-মৃত রুহুল আমিন, কামাল হোসেন (খসরু) পিতা মত খালেক মিয়া, গোলাম জুবায়ের পিতা-মৃত রহিস উদ্দিন তালুকদার, কামরুজ্জামান (জুম্মান), পিতা মৃত লিবাস উদ্দিন মাস্টার, মিলন মিয়া পিতা-মৃত আব্দুল খালেক, বাসক মিয়া পিতা মৃত আব্দুস সাত্তার, সুফিয়ান পিতা-মৃত আরিফ মিয়া, মোস্তফা কামাল পিতা-মৃত শহর আলী, জামাল মিয়া পিতা-মৃত পছন্দ মিয়া, শিবলী পিতা আব্দুল মোতালেব, কাদের মিয়া পিতা ইয়াকুব আলীসহ গোপালপুর গ্রামের আরো অনেকেই।
সুজন মিয়া পিতা মৃত কেরামত আলী ও তার পরিবার ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বসবাস করিয়া আসিতেছে কৃষ্ণ জীবনপুর মৌজায় ১৯৬২ সাল থেকে এই জমিটি সরকারি সম্পত্তি ১ নং খাস খতিয়ান ভূক্ত হালদাগ নং ৪৮২/৪৮৩ শ্রেণী কান্দা ২৪ শতাংশ জমিতে বসবাস করে এবং এই পরিবারটি ভূমিহীন।
গত ১৫-০২-২০২১ তারিখে সুজন মিয়া তার আশ্রয়স্থল বন্দোবস্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সুজন মিয়ার বাড়িটি পরিদর্শন করেন সুজন মিয়া ও সুজন মিয়ার পরিবার ভূমিহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন মিয়ার বাড়িটি পরিদর্শন করার পর থেকেই এই সুজন মিয়ার ফ্যামিলি উপর হুমকি-ধামকি ও উচ্ছেদ করার বিষয়টি সকলের কাছে জানাজানি হয়।
পরে গত ১১-০৩-২০২১ তারিখের ওই প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন পিতা-মৃত আব্দুল আউয়ালের বাড়িতে সুজন মিয়ার পরিবারকে রাত ১০ ঘটিকায় বাড়িতে একটি দরবার ডেকে নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই দরবারে সিদ্ধান্ত দেয় ১৫ দিনের মধ্যে সুজন মিয়ার পরিবার জন্মস্থান বসতভিটা ছেড়ে যেতে আদেশ দেয়। এই আদেশ অমান্য করিলে এলাকাবাসীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যে কোনো ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করিবে।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, শফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষ্ণ জীবনপুর মৌজায় ৪৮২/৪৮৩ সেই দুই দাগের জমিটি খাস। খাসজমিতে যদি কেউ অবৈধ দখল করে থাকে তাহলে সেটার দায়িত্ব হলো সরকারের এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কিছু করার নাই। আলী আকবর তালুকদার (মল্লিক) ৮ নং বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, সুজন মিয়া যদি এলাকাবাসীর সবাইকে নিয়ে বসে তাহলে এটা সমাধান হয়ে যাবে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কেন্দুয়া নে মইনউদ্দিন খন্দকার বলেন, এই বাড়ীতে সুজন মিয়া দীর্ঘদিন যাবত অবস্থান করিতেছে সুজন মিয়ার যদি কোনরকম ভূমি না থাকে তাহলে আমরা তাকে ব্যবস্থা করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করিতেছি। যারা সুজন মিয়া কে বাধা দেয় আমি তাদেরকে বলেছি তাদের কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য যদি তারা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে সে বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।