নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেন (৪৩) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহত সহকারী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন বর্তমানে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল বুধবার (১৫ জুন) দিবাগত আনুমানিক রাত নয়টার দিকে এ হামলা ও মারপিটের ঘটনাটি ঘটে। ইমন মিয়াসহ ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠে।
এ সময় ইমন বাহিনীর আতংকে প্রায় ১ ঘন্টা মোহনগঞ্জ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। রাত ১০টায় নেত্রকোণা সিভিল সার্জন মোঃ সেলিম মিঞাকে মারামারি ঘটনা ও জরুরী বিভাগ বন্ধ থাকার বিষয়টি অবহিত করা হয়।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা খাতুন বাদী হয়ে বুধবার রাতেই থানায় ইমন মিয়াকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরো ১২ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী ইমন মিয়া (২৮) কে গ্রেফতার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বারহাট্টা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের সালেক হায়দারের পুত্র পৌর শহরের নওহাল গ্রামের বাসিন্দা ইমন মিয়া গত ১৩ জুন তার শাশুড়ি ফরিদা পারভীনকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় মোহনগঞ্জ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তখন ইমন মিয়া সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের কথা বললে ড্রাইভার না থাকায় কর্তব্যরতদের হুমকি ধামকি দিয়ে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে রোগী ফরিদা পারভীনকে নিয়ে যান। ওই এ্যাম্বুলেন্স না দেয়ার জের ধরে বুধবার রাত পৌঁনে নয়টার দিকে সন্ত্রাসী ইমন বাহিনীর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী ওই হামলা ও মারপিটের ঘটনাটি ঘটায়। কর্তব্যরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হাসান মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান,এ ঘটনায় মূল আসামী ইমন মিয়াকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।