নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যে কোন সময় ফসল রক্ষা বাধঁ ভেঙ্গে ফসল হানির আশংকায় হাওরাঞ্চলের কৃষকরা দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে জেলার প্রধান প্রধান নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল রবিবার থেকে ধনু নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ছুঁই ছুঁই করছে লোকালয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে হাওরের ফসলের যাতে কোন ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি হতে না পারে তার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সর্তক অবস্থায় বিভিন্ন বাধেঁ অবস্থান করছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর নেত্রকোণা জেলার ১০ উপজেলায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্জিত হয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর। যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লক্ষ ৭০ হাজার ৭০২ মেট্রিক টন।
খালিয়াজুরী, মদন ও মোহনগঞ্জ এই তিন হাওর উপজেলায় ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। পাহাড়ী ঢলের কারণে বাঁধ ভেঙ্গে হাওরের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে এই আশংকায় সরকার ৮০ ভাগ ধান পাকলেই হাওরের কৃষকদেরকে ধান কাটার নির্দেশ দেয়ায় জেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকদেরকে দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিচ্ছেন।
হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলায় দ্রুত ধান কাটার জন্য ৩ শত ৭৭ টি হারভেস্টার মেশিন ও প্রায় ১০ হাজার কৃষক দিন রাত ধান কাটার ব্যস্ত রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত হাওরের প্রায় ৬০ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে।