নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণায় টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নের উওর ফারংপারা ও ভবানীপুর গ্রামের বেশকিছু অংশ ভেঙে গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হতে চলেছে দুই গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। এতে নদীর তীরের দুই গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। হুমকির মুখে রয়েছে ফসলি জমি, বসতভিটা, ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে স্থানীয়রা।
বর্তমানে ভাঙ্গনের আতঙ্কে সেখানকার শত শত পরিবার। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ওই এলাকায় স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানায়, উত্তর ফারংপাড়া থেকে ভবানীপুর এলাকার রাস্তায় যেভাবে নদী ভাংঙ্গন শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে রাস্তা নদীগর্ভে চলে যাবে। এতে করে ওই গ্রামের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়বে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের আবেদন জানাচ্ছি।
উওর ফারংপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলী জানান, রাস্তার দুই কিলোমিটার অংশে যেভাবে ভাংঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে আমাদের বাড়িঘর জমিজমা অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি এই জায়গায় স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মানের যেনো ব্যবস্থা করে দেয়। তা না হলে আমরা ভিটেমাটি জমিজমা হারিয়ে নিংশ্ব হয়ে যাবো।
ইতিমধ্যে নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বাস দেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান।
এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, আমাদের অফিসের লোকজনকে আজ সকালে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছেন। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।