নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কমিটির নির্বাচিত সদস্যবৃন্দরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্যবৃন্দরা।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলার সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২৭ মার্চ ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হয় মো: গোলাম নবী খান, মো: সোহরাফ খান, মো: নুরুল ইসলাম, মোছা: বেদেনা আক্তার।
অভিযোগে আরো জানা যায়, গত ২ এপ্রিল সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। তখন নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যগণ যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। ওই দিন দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করেন তারা। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়নি।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
অভিভাবক সদস্যগণের মতামত না নিয়ে উপজেলা সদরে বসে নির্বাচন বন্ধের নোটিশ প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগকারীরা জানান, সভাপতি নির্বাচনের দিন সকলেই শান্তিপূর্ণভাবে বিদ্যালয়ে যাথসময়ে অবস্থান উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক পছন্দমত সভাপতি নির্বাচিত করতে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এতে করে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের দাবী জানান তারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সভাপতি নির্বাচনের দিন বিদ্যালয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলনা। যার কারনে কর্তৃপক্ষ নির্বাচন সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দেন।
বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার সানজিদা খানম বলেন, সভাপতি নির্বাচনের দিন বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। এসময় প্রধান শিক্ষক আমার অফিসে বসা ছিল। এলাকা থেকে কিছু ভিডিও আসার পর ইউএনও মহোদয়কে জানালে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।’
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, সভাপতি নির্বাচনের দিন আমার অফিসে প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রধান শিক্ষক এসে এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান।
তারা বলেন, এলাকায় হট্টগোলসহ পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত। তখন নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয়া। পরবর্তীতে এডহক কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি