মো.কামরুজ্জামান,নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ৩দিন আটকিয়ে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের সানকিউড়া গ্রামের আবু তাহের এর মেয়ে স্নিগ্ধা। ধর্ষিতা নছিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর তথ্য মতে জানা যায়, গত মঙ্গলবার নিজ এলাকায় ইসলামী সমাবেশ শেষে রাত ১১ ঘটিকায় বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় একই এলাকার একলাছ মিয়ার ছেলে পিএল ও তার ২সহযোগীকে নিয়ে ছাত্রী স্নিগ্ধাকে কৌশলে আটকিয়ে তার বাড়ি নিয়ে আসে। পরে তাকে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মঙ্গলবার রাতে ধান রাখার মাছার ভিতরে ও বুধবার খাটের নিছে রেখে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার রাত ৩ঘটিকার সময় স্নিগ্ধা কৌশলে রশি ছিড়ে দরজ্বা খোলে পালিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। পরে তার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এভাবেই লোমহর্ষক ঘটনাটি বর্ণনা করেন সদর হাসপাতালের ৩৩নং বেডে চিকিৎসাধীন থাকা ১১বছর বয়সী ধর্ষিতা স্নিগ্ধা। এ ঘটনায় তরিকুল ইসলাম নামে একজন রাইস মিল শ্রমিককে আটক করে পুলিশ।
সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা স্নিগ্ধার বর্ণনা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম এই প্রতিবেদককে জানান, দ্রুত ঘটনাটির তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো.কামরুজ্জামান
নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি