গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই প্রত্যাশিত। কিন্তু সময় এবং বিষয় বিবেচনা জরুরী। কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি হয়ে আবির্ভূত হয়েছে, কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ।এই মহামারী মোকাবেলায় বেশামাল এখন বিশ্বনেতারা। মানূষ বাঁচাতে সাধ্যমত সাহায্য ঘোষনা করেছে সব দেশে। শিল্প কারখানা বন্ধ করায় বেকার হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মনূষেরা। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বিপদ অনুমান করে বাংলাদেশেও শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সাহায্যার্থে সরকার অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে জরুরী খাদ্য বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছে। সবকালে সবসময়ই একশ্রেনীর দুষ্ট চক্র এমন সময়ের অপেক্ষা করে, চুরি করে সরকারী সাহায্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মানূষত্ববোধহীন এই চোরেরা জনগনের জন্য প্রদত্ত্ব সাহায্যের চাল চুরি করেছে। তবে ধরা পড়েগেছে, বিচারও হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কঠিন ভাষায় এই চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন। দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছে। উন্নত দেশে যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশেও তার কমতি ঘটেনি ব্যবস্থাপনার। করোনা মোকাবেলায় সরঞ্জামের অপ্রতুল্যতা ধরে পরেছে উন্নত দেশেরও। বাংলাদেশেও একই কারনে জীবন গেছে অনেকের। প্রতিটি জীবন মূল্যবান এবং এমন অপমৃত্যু কারোই প্রত্যাশিত নয়। আমেরিকা, বৃটেন, কানাডা, আষ্ট্রেলিয়া, জার্মানীর মত দেশেও অসংখ্য মানূষের মৃতের সংখ্যা গুনতে হচ্ছে বুকচাপড়ে। ভেন্টিলাইজেশনের অভাব এখন সেখানেও। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু মানূষ নিত্য বিদ্রুপ করে চলেছে সরকারের বিরুদ্ধে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বাক্ষনিক তদারকি করছেন প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে, নিশ্চিত করছেন করোনা মোকাবেলায় সঠিক নিয়ন্ত্রনের। যারা প্রতিদিন ব্যঙ্গ করে সরকারের সমালোচনা করছেন তারা সুরক্ষিত হয়ে রাজনৈতিক বিষ ছড়াচ্ছেন কৌশলে। ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেন দেশবাসীর মনে। বিগত ১১ বছর যারা সরকারের উন্নয়নকে দেশ ধ্বংস করা বলে মন্তব্য করেছেন তাদের চোখে সরকারের সব উদ্যোগই দেশের অস্তিত্ব বিনষ্ট ভাবা অমূলক নয়। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য বলেছেন ” চোরেরা চোর ধরবে কিভাবে “। অথচ তার প্রিয় নেত্রী চুরির দায়ে অভুযুক্ত হয়ে জেল খেটেছেন। তার দলের কৃতকর্মের ফিরিস্তি দেওয়ার এখন উপযুক্ত সময় নয় তবে, প্রয়োজন হলে লিখতেই হবে। চোর কেবল চোরই, যে দলেরই হউক আর যে বিশ্বাসেরই হউক। চোরকে চোর হিসাবেই বিচার করা হবে, পদ পদবি বা দলের পরিচয়ে না। হচ্ছেও তাই। কিন্তু এই মূহুর্তে মানূষ আর দেশ বাঁচাতে ভেদাভেদ ভুলে একাত্ব হওয়া জরুরী। বিশেষকরে যারা জনপ্রতিনিধি তাদের উচিত দল/ মত ভুলে মানূষের কল্যানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনতার সামনে এসে দাড়াবার। মানূষ বাঁচলে দেশ বাচবে আর দেশ বাঁচলে নেতা বাচবে। নেতা হয়েছেন জনগনের দারা এবং জনগনের জন্য। অন্তত একবার জনগনের পাশে দাড়ান, জনগন আপনাকে আমরন নেতা বানিয়ে রাখবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন জনগনের কথা ভাবেন, জনগনের জন্য ভাবেন তাই তিনি নেতা- জনগনের নেতা। অপপ্রচার করে কাগজে যুক্তি দেখিয়ে ঘরে বসে নেতা হওয়া যায়না। সত্যকে সত্য বলে গ্রহন করুন, মিথ্যার আবাস থেকে বেড়িয়ে জনগনের কথা বলুন, সত্য বলুন। দেশ এখন ভাল নেতৃত্ব চায়। হতে পারে আপনিই হবেন সেই নেতৃত্ব।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
১৭ এপ্রিল ২০২০