বাংলাদেশের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি। চেষ্টা করছে সাফল্যের রহস্য উদঘাটনের। কিন্তু বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও বহুদূরে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা আর খাদ্য উৎপাদনের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এই সাফল্যকে টেকসই করতে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু ফারাক্কার পানি নিয়ে ন্যায্য আচরণ করেনি বহু বছর ধরে। চুক্তির পানিও দেয়নি প্রয়োজনে। কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পানির অভাবে। বাংলাদেশ এখন তিস্তা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ডিসেম্বরেই টেন্ডার হবে আশা করছি। তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ফারাক্কার নির্ভরতা কমে যাবে। মিঠা পানি সংরক্ষণ ছাড়াও ঢলের পানি গ্রহণ করার সক্ষমতা ফিরে পাবে তিস্তা। মৎস্য শিল্পের সংরক্ষণ ছাড়াও দুই পারে নগরী নির্মীত হবে। বহু মানুষ চাকুরী পাবে প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্রে। উত্তর বঙ্গের মঙ্গা কবলিত জনগোষ্ঠি চাষাবাদ সহ কার্যক্ষম হবে।
পদ্মা সেতু শেষ পর্যায়ে। শুধু পদ্মা সেতু-ই-না, ভোলা সেতু নির্মাণেরও প্রাথমিক কাজ শেষ করে ফেলেছে। ভোলা সেতু হবে পদ্মা সেতুর চেয়েও দীর্ঘ এবং দক্ষিনাঞ্চলের জন্য স্বপ্নের যোগসূত্র। কক্সবাজারেও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করে ফেলেছে সরকার। সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে। বিদ্যুৎ এখন সরবরাহ হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। যোগোযোগ নিশ্চিত হলে বাংলাদেশের কর্মঠ মানুষগুলি উদ্যমি হবে। যে দেশের মানুষ কর্মদ্যোমি হয় সেই দেশকে পৃথিবীর কোন শক্তি দমিয়ে রাখতে পারেনা। তবে এর জন্য সুযোগ্য নেতৃত্ব চাই। দূরদৃষ্টি আর বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা চাই। হাজার রকম সমস্যার মধ্যেও বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে- এখনো করছে। দেশ উন্নয়নের একটাই উপায়, সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব। সরকারের অনেক নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। এটাই উন্নয়নের মূলমন্ত্র। তিনিই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন। দেশে এবং বিদেশে যারাই বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিস্মিত হয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে এই শিক্ষাটিই এখন জরুরী।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
২৭ নভেম্বর ২০২০।