ফেনী জেলার কোন হাসপাতালে ICU নাই। পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহেও তাই।অবাক হয়ে গেলাম।এই আমাদের স্বাস্হ্য ব্যবস্হা ? লোকজন যাবে কোথায় ? শুধু ঢাকা ? করোনাকে কেন্দ্র করে ফেনী হার্ট ফাউন্ডেশন বা Diabetic হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে ICU স্হাপন করা যায় কিনা সে ব্যপারে নিজাম হাজারী MPর সাথে আলোচনাক্রমে খোঁজ খবর নিই। ৩ কোটি টাকার মধ্যে ৫ শয্যাবিশিষ্ঠ ventilation সুবিধা সহ ICU স্হাপন করা সম্ভব বলে জানতে পারি। এত কম টাকার জন্য জেলা পর্যায়ে হাসপাতালসমুহে ICU নাই। এটা ভাবতেও অবাক লাগছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত ১২ বছরে কত বরাদ্ধ স্বাস্হ্যখাতে দিয়েছেন আর তা কোন কাল গর্তে(Black hole) হারিয়ে গেছে তা খবর নেয়ার সময় এসেছে। ৩ মেয়াদের স্বাস্হ্য মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নাই।তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।স্বাস্হ্যখাতের বরাদ্দ যদি সঠিকভাবে ব্যবহার হত তাহলে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সসমুহেও সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ অন্তত ১০ শয্যাবিশিষ্ঠ ICU থাকার কথা। সব সেক্টরের সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতায় GK SHAMIM দের সিন্ডিকেট আজ এ দুরাব্যবস্থার জন্য দায়ী। জিকে শামীমরা ব্যবসায়ী, তারা তাদের ব্যবসার সুবিধার জন্য কর্তাব্যক্তিদের ব্যবহার করতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা MP, মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে এবং সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে সৎভাবে কার্যসম্পাদনের মুচলেকা দিয়ে চাকুরীতে ঢুকে লুটেরাদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন নিজে লাভবান হয়ে । তাদের না ধরে GK SHAMIM দের জেলে পুরে সমস্যার সমাধান হবে না। স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয় সহ অন্যান্য মন্ত্রনালয়ের GK SHAMIM দের এবং তাদের লুটপাট চিহ্নিত করে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের সহ আইনের আওতায় আনা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। BMA এবং স্বাচিপ কে অনুরোধ করব ডাক্তারদের নিয়োগ- বদলী- Departmental proceeding এর দিকে নজর না দিয়ে লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। প্রত্যেকটা হাসপাতালে বাজারের প্রতিযোগিতা মুলক মূল্যে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতকরণের ব্যবস্হা করুন। প্রত্যেকটা Tender এর সর্বনিন্ম মূল্যের সাথে বাজার মুল্য মিলিয়ে দেখুন। অনিয়ম এবং মুল্যের ব্যাপক ফারাক দেখলে সেখানেই প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করুন।এদেশ শুধু মন্ত্রী – সচিব- DG র নয়। এদেশ আমাদের সবার। আজ করোনা সংক্রমনের এ পর্যায়ে এসে অবশ্যই বুঝতে পারছেন সাধারন রোগীদের থেকে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশী বিপদসংকুল অবস্হায় আছেন। সঠিক সময়ে BMA এবং স্বাচিপ এ বিষয়ে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে স্বাস্হ্য ব্যবস্থার এমন বেহাল অবস্হা হয়ত হত না। কারন BMA এবং স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যে কোন সময় কোন নিয়ম- অনিয়মের বিষয়ে জানানোর ক্ষমতা রাখেন। অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
# আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী – নাসিম এর ফেইসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত।