সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন নেইমার। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট বাকি থাকতেই তাকে তুলে নেয়া হয়। তখন দেখা যায়, নেইমারের চোখ ছলছল করছে। ফুলে গেছে পায়ের গোড়ালি।
২০১৪ সালে নিজ দেশে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পিঠের ইনজুরিতে পড়ে আসর থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন নেইমার। তার অনুপস্থিতিতে সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে স্বপ্নভঙ্গ হয় সেলেসাওদের। এবার গোড়ালির ইনজুরি আবারও শঙ্কা জাগাচ্ছে। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতে পাওয়া নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) খেলার ৮০ মিনিটে মাঠ ছাড়ার আগে নেইমার মোট ৯ বার ফাউলের শিকার হন। এবারের বিশ্বকাপে যা এখন পর্যন্ত কোনো ফুটবলারকে সর্বোচ্চ ফাউল করার রেকর্ড।
✪ আরও পড়ুন:
নেইমার যখন ম্যাচশেষে সাইডবেঞ্চে বসে ছিলেন, তখনই তার চোখেমুখে স্পষ্ট হয়েছে ইনজুরির যন্ত্রণা। দল যখন জয় উদযাপনের অপেক্ষা করছিল, তখন ব্রাজিলের মেডিকেল টিম তার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ২৮ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর গ্রুপ পর্বে তাদের শেষ ম্যাচ ২ ডিসেম্বর ক্যামেরুনের বিপক্ষে। আপাতত অবস্থা যা, তাতে তিনি মিস করতে পারেন পুরো বিশ্বকাপ।
তবে ভয়ের কিছু দেখছেন না কোচ তিতে। সাংবাদিকদের তিনি শুনিয়েছেন আশার বানী। তার মতে, ব্রাজিলের পরের ম্যাচেই খেলবেন নেইমার। বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী, নেইমার খেলবে। সে বিশ্বকাপে খেলা চালিয়ে যাবে। আমি দেখিনি সে আঘাত পেয়েছে। ব্যথা সয়েও খেলে যাওয়ার সামর্থ্য তার ছিল। এমনকি সে আমার চোখও ফাঁকি দিয়েছে।