মোঃ মোশফিকুর ইসলাম (চিলাহাটি – নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলায় ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ৫০ কিলোমিটার এলাকায় তারকাটা বেড়া সংলগ্ন সাধারণ মানুষ জনকে চলাচল না করার আহবান জানিয়েছে নীলফামারী জেলা প্রশাসন ও ৫৬ বিজিবি।
অবৈধ অনুপ্রবেশ চোরা চালান কর্মকান্ড প্রতিহত করতে ভারতীয় সীমান্তে বি.এস.এফ রেড এলাট জারি করেছে। ফলে বিভিন্ন সীমান্তে তারকাটা বেড়ার কাছাকাছি কোন মানুষ জনকে দেখলে বি.এস.এফ গুলি বর্ষন করছে।
সম্পতি পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নওগাঁ সহ বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিক প্রাণ হারায়।
নীলফামারী সীমান্তও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রতি বছরই ভারত সরকার সীমান্ত সিল করে থাকে। এবারো ভারতের উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্য গুলোর সড়ক ও রেলপথসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে অতিরিক্ত সৈন্য ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান- নীলফামারীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ডোমার ও ডিমলা উপজেলার।
সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের সীমান্ত এলাকার তারাকাটা এলাকায় যেতে নিষেধ ও তারকাটা কেটে ফেলার মতো ঝুঁকি কাজ না করার জন্য সীমান্ত এলাকাবাসীকে সর্তক করা হয়েছে।
এ জন্য সীমান্ত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি সহ সচেতন ব্যাক্তিদের সহযোগীতা কামনা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে জনসচেতনার জন্য প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান- সীমান্তে শান্তি,সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য আমাদের প্রশাসনের জোড়ালো কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
অপর দিকে ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামবাসী সহ এলাকাবাসীর প্রতি কোন কারণেই সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা ও চলাচল না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে বিজিবি। সীমান্তে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত সীমান্ত এলাকায় জোরদার করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মামুনুল হক জানান আমারা চাইনা সীমান্তে কোন অ-প্রীতিকরন ঘটনা সৃষ্টি হউক।
তাই সীমান্তবাসী কোন ভাবেই সীমান্ত এলাকার তারকাটা বেড়া সংলগ্ন এলাকায় যেন কেউ না যায় সে জন্য জোড়ালো ভাবে প্রচারনা চালানো হচ্ছে।
মোঃ মোশফিকুর ইসলাম
(চিলাহাটি – নীলফামারী)
মোবাইল: ০১৭৯৬৯৭০২১১